স্টাফ রিপোর্টার; ঈশ্বরদীতে কৃষকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ। শনিবার দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের পতিরাজপুর গ্রামের জোয়ার্দ্দর মৎস্য খামারে এই মতবিমিয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সে সময় কৃষকদের সাথে মতবিনিময় সভা ছাড়াও অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন তিনি। দিনব্যাপী আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রায় ১৫’শ অসহায় মানুষ স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ বলেছেন, কৃষকদের স্বাস্থের ক্ষতি খাদ্য উৎপাদনে বিরুপ প্রভাব পড়বে। এজন্য কৃষককের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন , কৃষকদের বাণিজ্যিকভাবে কৃষি কাজের জন্য সহজশর্তে কোটি কোটি টাকা ঋণ দিতে হবে। কারণ অল্প টাকায় বাণিজ্যিকভাবে কৃষি আবাদ হয় না। ঈশ্বরদী কৃষি ক্ষেত্রের উর্বরভূমি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঈশ্বরদীতে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা জরুরী। সেই লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করছে উল্লেখ করে আরও বলেন, ইতিমধ্যেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগ ও বিভিন্ন ব্যাংকের সাথে আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে।
তারা ঈশ্বরদীতে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন। তাছাড়া বিএসআরআই ও কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের অভ্যন্তরেও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করে।
বাংলাদেশ কৃষক সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবনা জেলা প্রশাসক মোঃ মফিজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান, পাবনা পুলিশ সুপার মোঃ মোরতো আলী খাঁন, রাজশাহীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ড. হাবিবুর রহমান, জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ¯আস্থ্য অনুষদের ডীন ড. মোঃ মনোয়ারুল হক, পজেটিভ প্লাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডাঃ হোসাইন মোঃ আল-আমিন, ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ, ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রনব কুমার, ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম শহীদ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শাহাদাত হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতি ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সভাপতি ও রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক আলহাজ্ব শাহজাহান আলী পেঁপে বাদশা। অনুষ্ঠানে কৃষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক সিদ্দিকুর রহমান কুল ময়েজ, কৃষক আবু তালেব জোয়ার্দ্দার, বেলী বেগম প্রমূখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাতীয় পদকপ্রাপ্ত লিচু চাষী মোঃ আব্দুল জলিল কিতাব মন্ডল। অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার কৃষক ও কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।