"জাকারিয়া পিন্টু" অন্যায়ের অন্ধকার ভেদ করে বেরিয়ে আসা এক আলোকবর্তিকা”

মোঃ আবুল কালাম আজাদ নির্বাহী সদস্য শিল্প ও বণিক সমিতি, ঈশ্বরদী

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম সম্মানিত ভাই, বোনেরা, বন্ধুগণ, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আজ আমরা দাঁড়িয়ে আছি ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে। একদিকে অন্যায়, নির্যাতন ও নিপীড়নের দীর্ঘ কালো অধ্যায়, আর অন্যদিকে সত্য, সাহস ও নেতৃত্বের উদ্ভাসিত প্রতিচ্ছবি—নাম তার জাকারিয়া পিন্টু। জাকারিয়া পিন্টু কোনো কল্পকাহিনির নায়ক নন। তিনি বাস্তবের সেই সাহসী সন্তান, যিনি ষোলটি বছর ধরে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদের জাঁতাকলে পড়ে নির্যাতিত হয়েছেন। মিথ্যা মামলা, কারা নির্যাতন, রাজনৈতিক হয়রানি—সবই তিনি পেয়েছেন একের পর এক। কিন্তু কী আশ্চর্য! সেই মানুষটিই আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেন।বন্ধুগণ,

তিনি ছিলেন না কোনো উচ্চপদস্থ নেতা বা ধনিক শ্রেণির প্রতিনিধি। তিনি ছিলেন মাটির মানুষ, জনগণের কণ্ঠস্বর। তার প্রতিবাদ ছিল নির্যাতিত মানুষের ভাষা, তার দৃঢ়তা ছিল গণমানুষের আশা। তিনি কারাগারে থেকেও হার মানেননি, ভেঙে পড়েননি। কারণ তিনি জানতেন—সত্যের পরাজয় হতে পারে ক্ষণিকের জন্য, কিন্তু তা স্থায়ী নয়। আর আজ, জুলাই-আগস্টের গণজাগরণ আমাদের সেই সত্যকেই সামনে এনে দিয়েছে। এই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা শুধু একজন নেতাকে মুক্ত করি নাই, আমরা আমাদের আত্মসম্মান, আমাদের সংগ্রামের চেতনাকেও পুনর্জীবিত করেছি। ভাই ও বোনেরা,

জাকারিয়া পিন্টু শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি একটি অনুপ্রেরণা। আমাদের তরুণ প্রজন্ম যদি তার জীবনের দিকে তাকায়, তাহলে তারা শিখতে পারবে—ত্যাগ কাকে বলে, সংগ্রাম কেমন হয়, নেতৃত্ব কীভাবে তৈরি হয়। তাকে সম্মান জানানো মানেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের অঙ্গীকার পুনরায় উচ্চারণ করা। তাকে মূল্যায়ন করা মানে আমাদের ভবিষ্যৎকে সত্য ও সাহসের আলোয় আলোকিত করা। বন্ধুগণ,

চলুন, আজকের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে আমরা এই মানুষটিকে জানাই আমাদের গভীর শ্রদ্ধা। চলুন, আমরা তার জীবনের আদর্শকে আমাদের জীবনের পথদর্শক করি। চলুন, জাকারিয়া পিন্টুর নেতৃত্বে আমরা গড়ে তুলি একটি নতুন বাংলাদেশ—যেখানে থাকবে না দমন, থাকবে না মিথ্যা মামলা, থাকবে না ফ্যাসিবাদ, থাকবে শুধু ন্যায়, স্বাধীনতা ও জনগণের অধিকার। জয় হোক সত্যের! জয় হোক জাকারিয়া পিন্টুর মত সংগ্রামী নেতৃত্বের! জয় হোক জনতার বিপ্লবের!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন